বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারী যানবাহন চলাচলের রাস্তায় বড় বড় গর্ত দেখতে ভারতীয়রা অভ্যস্ত। এমনকি, বর্ষাকালেই সবচেয়ে করুণ অবস্থা হয় রাস্তাগুলির। যার ফলে প্রায়শই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার খবর মেলে। ইতিমধ্যেই একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, রাস্তায় গর্ত থাকার কারণে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে যথাক্রমে ৪,৭৭৫ এবং ৩,৫৬৪ টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
এমনকি, ২০১৮ সালে দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে এই গর্তগুলিকে সন্ত্রাসবাদের চেয়েও “ভয়ঙ্কর” হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছিল। এমতাবস্থায়, এবার এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে, বিহারের একটি জাতীয় সড়কে কার্যত সুইমিং পুলের আকারে একাধিক গর্তের ছবি দেখা গিয়েছে।
২২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থা:
মূলত, বিহারের মধুবনী এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া ২২৭ নম্বর জাতীয় সড়কেই বিরাট বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই দৈনিক ভাস্করের সাংবাদিক প্রবীণ ঠাকুর এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে নিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে ওখানকার কালুয়াহি-বাসোপট্টি-হারলাখির যৌথ সড়কটি বড় বড় গর্তে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।
এমতাবস্থায়, জাতীয় সড়কের এই বেহাল দশা দেখে স্বভাবতই তৈরি হয়েছে সমালোচনার ঝড়। এমনকি, ওই ছবি দেখে অনেকেই ওই রাস্তাটিকে জনপ্রিয় টিভি শো “Takeshi’s Castle”-এর সাথে তুলনা করেছেন। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়কের এহেন করুণ পরিস্থিতির বিষয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।
ঠিকাদাররা অনুপস্থিত:
এই প্রসঙ্গে দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এই রাস্তাটি ২০১৫ সাল থেকে সম্পূর্ণ জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটি মেরামত করার জন্য তিনবার টেন্ডার পরিবর্তন করা হলেও সমস্ত ঠিকাদাররা এখন অনুপস্থিত রয়েছেন এবং তাঁদের কাজও অসমাপ্ত রেখে গেছেন।
90 के दशक के जंगलराज में बिहार में सड़कों की स्थिति की याद दिलाता यह बिहार के मधुबनी जिले का नेशनल हाईवे 227 (L) है।
अभी हाल में ही #Nitishkumar जी एक कार्यक्रम में पथ निर्माण विभाग के लोगों को बोल रहे थे कि बिहार में सड़कों की अच्छी स्थिति के बारे में उन्हें सबको बताना चाहिए। pic.twitter.com/Qp0ehEluty
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) June 23, 2022
এদিকে, সপ্তাহ দু’য়েক আগে একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছিলেন যে, বিহারের রাস্তার পরিকাঠামো ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমান হবে। কিন্তু, এই ছবি কার্যত অন্য কথা বলছে। এমতাবস্থায়, রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, “বিহারের মধুবনী জেলার এই জাতীয় সড়ক ৯০-এর দশকের জঙ্গলরাজে বিহারের রাস্তাগুলির অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেয়।”





Made in India