বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (Corona Outbreak) দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশে জাঁকিয়ে বসেছে। আর সেই ভয়াল চিত্র দেখতে মিলছে ভোটমুখী বাংলায়ও। মাত্র তিন দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০০। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচন যে ‘অভিশাপ’ হয়ে উঠতে পারে তা আগেই আন্দাজ করেছিল বিশেষজ্ঞ মহল। এমনকি নির্বাচন কমিশনের তরফেও রাজনৈতিক সভা-মিছিল নতুন করে করোনার ‘উৎসস্থল’ হয়ে উঠতে পারে আন্দাজ করা হয়েছিল। তা এখন আচঁ করতে পারছে বঙ্গবাসী। হুড়মুড়িয়ে বেড়ে চলেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার সাথে পাল্লা দিচ্ছে মৃতের সংখ্যাও।
তাই এবার সেই নির্বাচন বন্ধের দাবিতে পিপিই কিট (PPE Kit) পরে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানাল ৮-১০ জন। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ওই দলের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। রাস্তায় শুয়ে আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ব্যাপক ভাবে মানুষের নজর কাড়ছে।

অবিলম্বে ভোট (Assembly Poll) বন্ধ করার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে তাঁদের স্পষ্ঠ বক্তব্য, বিশেষজ্ঞদের অনুমান আগামী ৪ সপ্তাহ রাজ্যের করোনা (Corona) পরিস্থিতি আরও উদ্বেগ জনক হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল গুলি যেভাবে ভোট উন্মাদনায় ব্যস্ত। এবং মিটিং-মিছিলে যেখানে করোনা বিঁধির কোনওবালায় নেই, এমনকি তাঁরা এও দাবি করেন রাজ্যবাসীও করোনার বাড়বড়ন্তের মধ্যে ভোটকে ‘উৎসব’ মনে করে মেতে উঠেছে, তাতে বাংলার করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।
তাই সেই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে ভোট বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আজ তাঁরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আরও জানায় যে, নির্বাচন কমিশনকে কোনও বিকল্প ভাবা উচিত, অন্য কোনও ব্যবস্থা করা উচিত ভোটগ্রহণ নিয়ে, তবে অবিলম্বে এ রাজ্যে নির্বাচন বন্ধ করা হোক।
উল্লেখ্য, সোমবার হুগলির চুঁচুড়ার সভায় হুঁশিয়ারির সুরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কেন আট দফায় নির্বাচন করা হচ্ছে। BJP-র মণ্ডলরা ঠিক করে দিচ্ছে নির্বাচনের দিন। বলবে, কোভিড হয়েছে বলে নির্বাচন বন্ধ করে দাও! এসব চলবে না। ভোট যখন শুরু হয়েছে, শেষ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কি ভোটটা ৩-৪ দফায় করা যেত না?’ সেই মর্মে এদিন এই ভোট বন্ধ করার প্রতিবাদ কর্মসূচী যে বিশেষজ্ঞ মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা আর বলার জো রাখে না।





Made in India