বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝাড়খণ্ডী মহাদেব মন্দির সরোবরের উপরে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) দাবি খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে ঝাড়খণ্ডী মহাদেব মন্দির সংলগ্ন প্রাচীন সরোবরের উপরে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি ঘিরেই শুরু হয় আইনি বিতর্ক। মন্দির সংলগ্ন ওই সরোবরকে ‘কারবালা’ হিসেবে দাবি করে মামলা করে বোর্ড (Waqf Board)। কিন্তু সেই মামলা খারিজ হয়ে যায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে।
ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) দাবি খারিজ আদালতে
দীর্ঘদিন ধরেই ঝাড়খণ্ডী মহাদেব মন্দির সংলগ্ন ওই সরোবরে হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন হয়ে থাকে। এরপর ২০১৮-১৯ সালে ওই সরোবরের উন্নতি এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বলরামপুর নগরপালিকা পরিষদ ২৮.৯২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। সরোবরটিকে এরপর ‘মন্দির সরোবর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল নগরপালিকা পরিষদের তরফে। কিন্তু তারপরেও সম্প্রতি মহরমের সময় ওই সরোবরে তাজিয়া বিসর্জন দিয়ে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে।
সরোবরে তাজিয়া বিসর্জনের অভিযোগ: স্থানীয় পুরসভার তরফে এর পরেই তাজিয়া বিসর্জনের জন্য অন্য একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মন্দির সরোবরকেই কারবালা হিসেবে দাবি করার অভিযোগ ওঠে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) বিরুদ্ধে। ওই সরোবরকে কারবালা হিসেবে দাবি করে মামলা করেছিল বোর্ড। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্টে ধাক্কা খেতে হল তাদের।
আরো পড়ুন : জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল! একসঙ্গে লাল-গেরুয়া আবির মেখে উল্লাস, নজিরবিহীন ছবি রাজ্যে
দাবি খারিজ হাইকোর্টের: এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে মামলা উঠলে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) বিরুদ্ধে যায় সেই মামলা। বোর্ডের দাবি স্পষ্টতই খারিজ করে দেয় আদালত। মন্দির সরোবরের উপরে ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
আরো পড়ুন : দুর্যোগ পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে, DVC-র ৭০ হাজার কিউসেক জলে ডুবন্ত একাধিক জেলা, ক্ষুব্ধ নবান্ন
আদালতে মামলা উঠলে স্পষ্ট জানানো হয়, সরকারি নথি কিংবা রাজস্ব সংক্রান্ত রেকর্ডের কোনো জায়গাতেই ওই সরোবরকে কারবালা হিসেবে উল্লেখ করা নেই। শুনানিতে এমনটা জানিয়েই আদালত খারিজ করে দেয় বোর্ডের দাবি।