বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চলতি বছরই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একসঙ্গে প্রায় ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে ওই চাকরিজীবীদের ভাগ্য। পাশাপাশি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও রয়েছে জটিলতা। এমতাবস্থায় নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কী বললেন ব্রাত্য (Bratya Basu)?
বর্তমানে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকের অভাবে বাংলার বহু বিদ্যালয় ধুঁকছে। বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যায় ‘গরমিল’ রয়েছে। কোথাও শিক্ষকের সংখ্যা বেশি পড়ুয়ার সংখ্যা কম, কোথাও আবার ছাত্রছাত্রী থাকলেও পড়ানোর জন্য নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক। ফলে সার্বিকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা।
জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার চালিত প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে এবার বন্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে বহু স্কুল। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বলেন, সরকারের তরফ থেকে শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) প্রক্রিয়া ফের শুরু হলেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুনঃ তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? আরজি করে ভাঙচুর, হাইকোর্টে মামলা হতেই … তোলপাড় বাংলা!
মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে বিদ্যালয়, কলেজ মিলিয়ে প্রায় ৩.৫ লক্ষের বেশি শূন্যপদ আছে। তবে হাইকোর্টে মামলা চলা সহ অন্যান্য কারণে এখনও বহু নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ শুরু না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

নিয়োগের পাশাপাশি এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেন ব্রাত্য (Bratya Basu)। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র কন্যাশ্রী অথবা বৃত্তি দিয়ে পড়াশোনা চালানো যাবে না। কারণ বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিকের আগেই অনেক পড়ুয়া স্কুল ছেড়ে দিচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিম্নমুখী। এক কথায়, ‘ড্রপ আউটে’র সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মতে বিশেষজ্ঞদের।





Made in India