দিল্লি থেকে কলকাতা, DA-র অংশ মেটানোর আগেই আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য, সামনে বড় আপডেট

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ’র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জুনের শেষেই হাতে আসবে বকেয়া ডিএ-র অংশ, এই আশাতেই বুক বাঁধছেন সরকারি কর্মীরা। এরই মধ্যে সামনে এল বড় আপডেট।

ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে এল বড় আপডেট | Dearness Allowance

সূত্রের খবর, বকেয়া ডিএ প্রদানের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে একটি সুস্পষ্ট আইনগত কৌশল তৈরি করার লক্ষ্যে দিল্লি এবং কলকাতার অভিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছে মমতা সরকার।

আরও জানা গিয়েছে, এই আইনি পরামর্শ প্রক্রিয়াটি রাজ্যের আইন বিভাগ সমন্বয় করছে। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছেন খোদ অর্থমন্ত্রী ও অর্থসচিব। নজর রাখছেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এর আগে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করব না। যা করব, আইন মেনেই করব।”

একবার আইনগত পরামর্শ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রাজ্য সরকার বকেয়ার অংশ মিটিয়ে দেবে বলে আশাবাদী সরকারি কর্মীরা। এদিকে শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। সম্প্রতি সব দফতর, স্কুল-কলেজ এবং স্বশাসিত সরকারি সংস্থাগুলির কাছে কর্মচারীদের সংখ্যা জানতে চেয়ে তথ্য তলব করেছে অর্থ দফতর।

How Many Dearness Allowance DA recipients Finance Department wants to know

আরও পড়ুন: ‘টাকা খেয়ে তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে’! CBI-এর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তিলোত্তমার পরিবারের

আবার বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে প্রযুক্তিগত দিক থেকে নতুন পদ্ধতি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। জানা গিয়েছে সেই প্রযুক্তি সমস্ত দফতরে পাঠিয়ে সমস্ত কর্মীর মহার্ঘ ভাতা জানার সময়সীমা জানতে চাওয়া হবে। এক বেসরকারি সংস্থাকে প্রযুক্তিগত পদ্ধতি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। সরকারি কর্মচারীদের ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ পোর্টালে গিয়ে ২০০৯ সালে ‘রোপা’ কার্যকর হওয়ার পরে কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে।

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/live/tI-0DtOtxSc?si=tIsuBr_anIyHqGkD

সব দফতর, সরকার অনুমোদিত এবং সরকার পোষিত স্বশাসিত সংস্থা এবং স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। সরকারি কর্মীদের ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিজ নিজ কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে সেখানে। এর মাধ্যমে অর্থ দফতর সহজেই কোন আধিকারিক বা সরকারি কর্মচারীকে কত পরিমাণ বকেয়া ডিএ দিতে হবে, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবে।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।