বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। আর তার মধ্যেই অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল ‘সবুজ সাথী’ (Sabuj Sathi Cycle)। গত কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে চলছে এই প্রকল্প যার মাধ্যমে নবম শ্রেণিতে ওঠার পরেই বিনামূল্যে সাইকেল পান পড়ুয়ারা। প্রত্যন্ত এলাকায় এই সাইকেলই পড়ুয়াদের নিত্যদিনের ভরসা। বাংলার এই সবুজ সাথীর সাইকেল এতটাই জনপ্রিয় বর্তমানে তা চলতে চলতে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের বাজারে হটকেকের মতো বিকোচ্ছে মমতার দেওয়া সরকারি সবুজসাথীর সাইকেল। ওপার বাংলায় এর চাহিদা, কদর দুইই তুঙ্গে। কিন্তু বাংলার পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ সরকারি সাইকেল ভিন দেশে যাচ্ছে কি করে? যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূলত দুভাবে এই সাইকেল বাংলা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়।
প্রথমত, এদেশে থাকা একাধিক নাগরিকের কাঁটাতারের ওপারে চাষের জমি আছে। হতে পারে কোনো কোনো সময় তারা সাইকেল চেপে ওপারে যান ঠিকই কিন্তু ফেরার সময় আর সাইকেলে চেপে না এসেছে হেঁটে চলে আসেন। ফেরার আগে ওই সবুজ সাথীর সাইকেল বাংলাদেশে বেচে দিয়ে আসেন তারা।
দ্বিতীয়ত, একাধিক খোলা বর্ডার দিয়ে সবুজ সাথীকে পাচার করে দেওয়া হয় ওদেশে। চোরা পথে কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে এই পাচার চলে। বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চলে এই কাজ। তবে দুক্ষেত্রেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়েই এই কাজ চলছে বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুরছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে এগুলি সবুজ সাথীর সাইকেল। সাইকেলের গায়ে জ্বলজ্বল করছে বিশ্ব বাংলার লোগোও। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এই সবুজ সাথী সাইকেলের দাম ৭-৮ হাজার টাকা। নতুন সাইকেল কিনতে গেলে যেখানে ১৪-১৫ হাজার টাকা খসছে সেখানে হাফ দামে বাংলার সবুজ সাথীকেই বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ।
আরও পড়ুন: দহন জ্বালা থেকে স্বস্তি! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? আবহাওয়ার খবর
আবার সে দেশের হাটের এক ব্যবসায়ীর কথা অনুযায়ী, অনেকেই বলেন এগুলো নাকি পশ্চিমবঙ্গের। সেখানকার বিদ্যালয়ের বিনামূল্যেই এই সাইকেল দেওয়া হয়ে থাকে। আমরা পাইকারদের কাছ থেকে এই সাইকেক নিয়ে আসি। তারপর ২০০-৩০০টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে দিই।





Made in India