বাংলা হান্ট ডেস্ক: এপ্রিলের প্রবল গরমের কারণে নাজেহাল দশা হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীর। সেই আবহে স্কুল পড়ুয়াদের কথা ভেবে এগিয়ে আনা হয়েছিল গরমের ছুটি। মে মাসে বৃষ্টিবাদলের কারণে তেমন তাপপ্রবাহ সহ্য করতে হয়নি দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। এমতাবস্থায় পুনরায় স্কুল কবে খুলবে তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা চলছিল। অবশেষে সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া হল সেই দিনক্ষণ।
রাজ্যের পড়ুয়াদের তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে গত ২২ এপ্রিল আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রখর গরমের কারণে যাতে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ না হয়ে পড়ে সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২ জুন অবধি ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী ৩ জুন থেকে স্কুল খুলে যাওয়ার কথা। তবে সোমবার শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ জুন থেকে স্কুল খুলতে চলেছে।
সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, সরকারি এবং সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের ছুটি ১০ জুনের কিছুটা আগেই শেষ হতে চলেছে। আজকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩ জুন তথা পরের সোমবার থেকেই তাঁদের বিদ্যালয়ে যেতে হবে। আগামী ৪ জুন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। সেই কারণে বিদ্যালয়গুলিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা থাকছেন। তাই ৯ জুনের আগে ক্লাস চালু করা সম্ভব নয়। তাই পড়ুয়ারা ১০ জুন থেকে ফের বিদ্যালয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: ‘কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে পারে’! মিমির বদলে কেন সায়নীকে টিকিট? ‘আসল কারণ’ ফাঁস মমতার!
এদিকে চলতি বছর ৬ মে থেকে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু এপ্রিল মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি এগিয়ে আনা হয়। কারণ বহু শিক্ষার্থী গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছল। পড়ুয়াদের যাতে এভাবে কষ্ট না পেতে হয় সেই কারণে ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার দীর্ঘ সেই ছুটি কাটিয়ে স্কুল খোলার পালা এসে গিয়েছে। ভোট মিটলেই ফের বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস শুরু হয়ে যাবে পড়ুয়াদের।

এদিকে মে মাস থেকে আবহাওয়ার খানিক বদল হতেই পুনরায় স্কুল খোলার দাবি উঠতে শুরু করেছিল। দু’টি শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকেও দাবি করা হয়েছিল যে এখন বিদ্যালয় খোলা হোক, পরে যদি তাপমাত্রা ফের বৃদ্ধি পায় তখন ছুটি ঘোষণা করা হবে। তখন থেকেই গরমের ছুটি কবে শেষ হবে তা নিয়ে চর্চা চলছিল। অবশেষে আজ নির্দেশিকা জারি করে সেকথা ঘোষণা করে দিল শিক্ষা দফতর।





Made in India