বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষাকে (Madhyamik Exam) ঘিরে সম্প্রতি এক বড় সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে। যেখানে জানানো হয়েছে, চলতি বছর বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও এই বিষয়টি ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও, মাধ্যমিকের কয়েকদিন আগে পরীক্ষা শুরুর সময় এগোনোর প্রসঙ্গে কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ এখনও বলতে পারেনি পর্ষদ।
পাশাপাশি এহেন সিদ্ধান্তের বিষয়ে হয়েছে মামলা। যেখানে মামলাকারীদের দাবি ছিল পর্ষদের এই সময় বদলের সিদ্ধান্তে সমস্যার সম্মুখীন হবেন ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও। আর এই বিষয়টি সামনে রেখেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এমতাবস্থায়, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদলানোর সিদ্ধান্তকে “দায়িত্বজ্ঞানহীন” বলে বিবেচিত করল কলকাতা হাইকোর্ট।

মূলত, দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পর্ষদের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মাধ্যমিকের দৈনিক সূচিতে কোনো পরিবর্তন না ঘটলেও পরীক্ষা শুরুর সময়ে বদল আনা হয়েছে। অর্থাৎ, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: এবার পারলেন না রিঙ্কু! লক্ষ লক্ষ ভক্তের আশায় এভাবে ঢাললেন জল, হলেন ব্যর্থ
এদিকে, এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানির সময়ে রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক যুক্তি খাড়া করা হয়। সেখানে বলা হয় যে, বেলা বাড়ালে যানজট বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। আর এই দিক একটি মাথায় রেখেই সকাল-সকাল পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর সওয়াল শোনার পর বিচারপতি জানান, “এটা একদম ফালতু যুক্তি। যানজট যে হয় এটা কি এই বছর মনে পড়ল? পরীক্ষার পনেরো দিন আগে হঠাৎ একথা মনে পড়ল কেন?”
আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের পর এবার রাম সেতু! ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে ২৩ কিমির “সি ব্রিজ” তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের
পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, “আপনাদের কর্তারা এরকম ফালতু যুক্তির ওপর ভর করে কি সিদ্ধান্ত নেন?” এছাড়াও বিচারপতি বলেন, এটি রীতিমতো দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত। যদিও, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদলানোর এই সিদ্ধান্তে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। মূলত, পরীক্ষার্থীদের যাতে আর বিভ্রান্তি না বাড়ে সেজন্য কোনো নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়নি আদালতের তরফে। তবে, প্রত্যেক পরীক্ষার্থী যাতে বাড়ি থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিজেদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। এর পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রাজ্যের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে বলেও জানা গিয়েছে।





Made in India