বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিনের সাথে উত্তেজনার মধ্যে, ফিলিপিন্স এখন তার সেনাবাহিনীর জন্য ভারতের (India) কাছ থেকে ৯ ব্রহ্মোস অ্যান্টি-শিপ উপকূলীয় মিসাইল ব্যাটারি হাসিল করার লক্ষ্যে রয়েছে। যেটি ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে থাকা ল্যান্ড-বেসড অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সিস্টেম (ISBASMS) অধিগ্রহণ প্রকল্পের একটি সম্প্রসারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর আওতায় ভারত থেকে ফিলিপিন্সকে দু’টি ব্যাটারি দেওয়া হয়।
ভারত (India) থেকে কি চাইছে ফিলিপিন্স?
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারত (India) এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে একটি উপকূল-ভিত্তিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল অধিগ্রহণ প্রকল্প ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়। ২০১৯ সালে, এটি একটি ল্যান্ড-বেসড মিসাইল সিস্টেম (LBMS) অধিগ্রহণ প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়। যা ২১২১ সালে অনুমোদিত হয়েছিল।

এদিকে, ফিলিপিন্স ২০২২ সালে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ভারতের (India) সাথে একটি চুক্তি করে। ৩৭.৫ কোটি মূল্যের এই চুক্তির অধীনে, ভারত ফিলিপিন্সের কাছে ল্যান্ড-বেসড ব্রহ্মোস মিসাইলের পাশাপাশি তার ব্যাটারি, লঞ্চার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম হস্তান্তর করবে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে, ভারত ফিলিপিন্সের কাছে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ হস্তান্তর করেছিল।
আরও পড়ুন: রেহাই পাবেন না রোহিত-বিরাটও, BCCI-এর এই ১০ টি নিয়ম না মানলেই কেরিয়ারে নামবে অন্ধকার
২ টি মিসাইল ব্যাটারি কনফিগারেশন সিস্টেম: এই ডেলিভারির মধ্যে ব্রহ্মোস মিসাইল, টাট্রা ৬×৬ যানবাহণে মাউন্ট করা মোবাইল লঞ্চার এবং একটি ইন্টিগ্রেটেড লজিস্টিক সহায়তা প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্স মেরিন কর্পস কর্মীরা সিস্টেমের জন্য অপারেটর এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। ফিলিপিন্সের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু বিবেচনা করে কনফিগারেশনটি ২ টি মিসাইল ব্যাটারি কনফিগারেশন করা হয়েছে। যেগুলি ভারতে (India) ব্যবহৃত ৩ টি লঞ্চার কনফিগারেশনের থেকে আলাদা। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ফিলিপিন্স হল ভারত থেকে ব্রহ্মোস কেনার প্রথম দেশ। বর্তমানে এই মিসাইল ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রফতানি করার জন্যও আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: TreasureNFT-র হাত ধরে হল স্বপ্নপূরণ! মাত্র ২ বছরের পরিশ্রমেই গাড়ি কিনলেন কৌশিক ব্যানার্জি
ব্রহ্মোস মিসাইলের বৈশিষ্ট্য: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ব্রহ্মোস মিসাইল ১৯৯০-এর দশকে ভারত (India) এবং রাশিয়া যৌথভাবে তৈরি করেছিল এবং ২০০১ সালে এটি লঞ্চ হয়। এই মিসাইল স্থল-বেসড উপকূলীয় ব্যাটারি, নৌ জাহাজ এবং বিমান উৎক্ষেপণ ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা হয়েছে। ব্রহ্মোস মিসাইলের রেঞ্জ ভেরিয়েন্টের ওপর নির্ভর করে ৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। এদিকে, রফতানি ভেরিয়েন্টের এর রেঞ্জ ২৯০ কিমি। এটি Mach ২ এবং ৩-এর মধ্যে গতিতে ভ্রমণ করতে সক্ষম এবং ২০০ থেকে ৩০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেডও বহন করতে পারে।





Made in India