বাংলাহান্ট ডেস্ক: ইদানিং বিয়ে ভাঙার খবর যেন জলভাত হয়ে গিয়েছে সবার কাছে। বিশেষ করে গ্ল্যামার জগতের অনেক সদস্যদের কাছে সম্পর্ক ভাঙাগড়াটা এক রকম খেলা হয়েই দাঁড়িয়েছে। এক বছর থেকে ১০ বছর, বৈবাহিক জীবনের স্থায়িত্বে নিশ্চয়তা নেই কখনোই। অভিনেত্রী জয়া আহসানের (Jaya Ahsan) ১৩ বছরের দাম্পত্যই ভেঙেছিল অদ্ভূত কারণে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এখন এপার বাংলাতেও তাঁর খ্যাতি আকাশ ছুঁয়েছে। বউ ছবিতে অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন জয়া। বিশেষ করে তাঁর সৌন্দর্যের চর্চা হয় দুই বাংলাতেই। প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও তাঁর গ্ল্যামার দেখার মতো। অবশ্য তাঁর বয়স নিয়ে যেমন ধন্দ রয়েছে তেমনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং সম্পর্ক নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।

শোনা যায়, এখন সিঙ্গল হলেও আগে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন জয়া। বাংলাদেশের জমিদার পরিবারের সন্তান ফয়সাল মাসুদের সঙ্গে প্রথমে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। প্রেমের বিয়ে ছিল সেটা। দুজনের প্রথম দেখা ১৯৯৮ সালে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের সময়ে বলে জানা যায়।
কিন্তু প্রথম দেখাতেই প্রেম হয়নি তাঁদের। শোনা যায়, ফয়সালের দেরিতে আসায় প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন জয়া। মেকআপ করে এক ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। রেগে গিয়ে ফয়সালকে দু কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য পরিচয় বাড়তে বাড়তে বন্ধুত্বে পরিণত হয় দুজনের মধ্যে। সেটা বদলায় প্রেমে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন জয়া ফয়সাল।

কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর সব ঠিকঠাক চলার পর হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে তাঁদের তাসের ঘর। কেন? জয়া ফয়সালের বিচ্ছেদের সঠিক কারণ জানা না গেলেও শোনা যায়, কিছুটা হিংসার কারণেই আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। আসলে অফস্ক্রিনের মতো অনস্ক্রিনেও জয়া ফয়সালের জুটি ছিল জনপ্রিয়।
কিন্তু এক সময়ে ফয়সালকে ছাপিয়ে যান জয়া। ফয়সাল নিজেই জানিয়েছিলেন একথা। সম্ভবত এই কারণেই ব্যক্তিগত জীবনেও দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তাঁদের মধ্যে। ২০১১ সালে শেষমেষ আইনি বিচ্ছেদ হয়ে যায় জয়া ফয়সালের। তারপর থেকে সিঙ্গলই রয়েছেন অভিনেত্রী।





Made in India