বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির প্রতিভাবান অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta)। ছোটপর্দা থেকে কেরিয়ার শুরু করে বড়পর্দায় পা রাখেন তিনি। খ্যাতি পেতে বেশি দেরি হয়নি। আর এখন বাংলা ছাড়িয়ে বলিউড এবং দক্ষিণেও ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা। যিশু এখন জাতীয় স্তরের অভিনেতা।
বাংলায় বহু সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন যিশু। কেরিয়ার জুড়ে তাঁর উন্নতির গ্রাফটা খুবই স্পষ্ট। তবে যিশু বলেন, তাঁকে প্রকৃত অভিনেতা করে তোলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। ২০০১-২০০২ সালে বড়পর্দায় কাজ শুরু করেন যিশু। আর ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে তিনি প্রথম কাজ করেন ২০০৮ সালে। যিশু বলেন, ‘ঋতুদা’র সঙ্গে কাজ করার পরেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়ে।

আজ এত বড় মাপের একজন অভিনেতা হলেও যিশুর প্রথম প্রেম কিন্তু অভিনয় নয়, কখনো ছিলও না। সাক্ষাৎকারে তিনি অকপটে জানান, তাঁর বাবা অভিনেতা হলেও তাঁর অভিনয়ে আসার কোনো কথাই ছিল না। ওটা হঠাৎ করেই হয়ে গিয়েছে। অভিনয় জগতে পা রেখে নিজের নামও বদলে ফেলেন তিনি। এর নেপথ্যে কারণটাও এতদিন পর ফাঁস করলেন অভিনেতা।
১৯৯৮ সালে টেলিভিশনে ‘মহাপ্রভু’ সিরিয়ালে অভিনয় করেন যিশু। অনেকেই জানেন, সেটাই তাঁর প্রথম অভিনয়। কিন্তু সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, মহাপ্রভুর আগে ১৯৯৭ সালে আরেকটি টিভি শোতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেটার পরিচালনা করেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়।

অভিনেতা জানান, তাঁর ডাক নাম ছিল যিশু। আর মাধবী তাঁকে তাঁর ডাকনামেই চিনতেন। সে সময়ে তিনি বলেছিলেন যিশু নামটাই তিনি রাখতে চান। ১৬-১৭ বছরের বিশ্বরূপ (এটাই যিশুর ভাল নাম) কোনো আপত্তি করেননি তখন। আসলে তখন তিনি ভাবতেই পারেননি যে একসময় তিনিও অভিনেতা হবেন। এরপর মহাপ্রভু সিরিয়ালেও যিশু নামেই পরিচিত হন তিনি। আর কালক্রমে সেটাই হয়ে যায় তাঁর ভাল নাম। চাপা পড়ে যায় বিশ্বরূপ।





Made in India