বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিদেশ ভ্রমণ করতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন পাসপোর্ট। তবে পাসপোর্টের এই গুরুত্ব আজকের নয়, প্রতিটি দেশ পাসপোর্টের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিল সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই। তাই বর্তমানে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব থেকে প্রয়োজনীয় নথি হলো পাসপোর্ট (Passport) আর ভিসা (Visa)।
ভ্রমণকারীর নাম, ঠিকানা থেকে শুরু করে বয়স, ছবি, নাগরিকত্ব সহ স্বাক্ষর থাকে। তাই কোনো ব্যক্তি যে দেশে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁর পরিচয় কি তা জানার জন্য সমস্যায় পড়তে হয়না। ফলত, ই-পাসপোর্ট ইস্যু করে সব দেশই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশে অভিবাসীদের প্রবেশ রুখতে পাসপোর্ট ব্যবস্থার চালু করেছিল ১৯২০ সাল নাগাদ।
আরোও পড়ুন : পাকিস্তানের এই ৩ বিধ্বংসী খেলোয়াড় ভারতকে দিতে পারে বড় ধাক্কা, একজনের জন্য হাতছাড়া হয়েছে ট্রফিও
১৯২৪ সালে লীগ অফ নেশনস-এ আলোচনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন পাসপোর্ট সিস্টেম চালু করে। তবে হ্যাঁ, এমনও কয়েকজন রয়েছে যাদের কোন দেশে ভ্রমণ করতে গেলে পাসপোর্ট কিংবা ভিসার প্রয়োজন নেই। এই ব্যক্তিরা যখন বিদেশ ভ্রমণ করেন তখন তাঁদের পাসপোর্ট এর কথা কেউ জিজ্ঞাসাও করে না। কারা তাঁরা?
আরোও পড়ুন : সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় বাংলার জয়জয়কার! যুগ্মভাবে প্রথম রাজ্যের ৩ পড়ুয়া
পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন এমন তিনজন বিশেষ ব্যক্তি হলেন ব্রিটেনের রাজা, জাপানের রাজা ও রানী। চার্লস ব্রিটেনের রাজা হওয়ার আগে এই সুবিধা ভোগ করতেই প্রয়াত রানী এলিজাবেথের কাছে। তবে, তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়ত। একই অধিকার আছে ব্রিটিশ রাজারও। তবে তাঁর স্ত্রীর নেই। অন্য দেশে ভ্রমণ করতে গেলে কনস্যুলার পাসপোর্ট তাঁদের সঙ্গে রাখতে হয়।

শুধু তাই নয়, বিশেষ সম্মানীয় পাসপোর্ট রাখা বাধ্যতামূলক রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও। জাপানের বর্তমান সম্রাট হয়েছিলেন নারুহিতো। তাঁর পিতা আকিহিতো সম্রাট হিসেবে পদত্যাগ করার পর তিনি সম্রাট হন। জাপানের সম্রাজ্ঞী ছিলেন তাঁর স্ত্রী মাসাকো ওওয়াটা। তাঁর বাবা যতদিন ধরে জাপানের সম্রাট ছিলেন, ততদিন তাঁর আর তাঁর স্ত্রীর পাসপোর্ট দরকার হতো না।





Made in India