বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট (Internet) ব্যবহার করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। দৈনন্দিন জীবনের অধিকাংশ কাজকেই সহজ করে দিয়েছে এই ইন্টারনেট। যেই কারণে দিন দিন বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এদিকে, অনেকেই আবার তাঁদের কাজের সুবিধার্থে এবং ভালো ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করার লক্ষ্যে বাড়িতে Wi-Fi রাউটারের (Wi-Fi Routers) ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে দিনরাত সবসময়ই চলতে থাকে ওই ডিভাইস। কিন্তু, আপনি কি জানেন অত্যধিক হারে Wi-Fi রাউটার চালিয়ে রাখলে সেটি বড়সড় বিপদের কারণ হতে পারে? এমনকি, শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন আপনি? আসলে অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব।
প্রভাব পড়ে ঘুমে: মূলত, Wi-Fi রাউটার থেকে এক ধরণের তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার আবার ঘুমের উপরেও প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয়, Wi-Fi-এর তরঙ্গের প্রভাবেও প্রভাবিত হয় ঘুম। যার ফলে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যার পাশাপাশি বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগতে থাকেন। তাই, রাত্রিবেলায় ঘুমোনোর সময়ে অবশ্যই Wi-Fi রাউটার বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন: Wi-Fi রাউটার থেকে আসা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন প্রত্যক্ষভাবে আমাদের শরীরকে প্রভাবিত করে। এমতাবস্থায়, রাতে Wi-Fi রাউটার বন্ধ করে দিলে এই রেডিয়েশনের প্রভাব কমে যায়। এদিকে, Wi-Fi-এর তরঙ্গের প্রভাব মানসিকভাবেও পড়ে। মূলত, অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে অনেক সময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
একাধিক শারীরিক সমস্যা: Wi-Fi-এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে দৃষ্টিশক্তি প্রভাবিত হয়। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, Wi-Fi-এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষের স্মৃতিশক্তিতেও খারাপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে আলজাইমার্সের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

রেহাই মিলবে সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে: রাত্রিবেলায় Wi-Fi রাউটার বন্ধ রাখলে সাইবার অপরাধীদের হাত থেকেও রেহাই মিলবে। আপনি যখন Wi-Fi বন্ধ রাখেন তখন আপনার নেটওয়ার্ক যেকোনো অপ্রত্যাশিত আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে এবং আপনার ডেটার নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, রাত্রিবেলায় Wi-Fi রাউটার বন্ধ রাখলে বিদ্যুতের সাশ্রয়ও ঘটে।





Made in India